ফেনীতে সাম্প্রতিক বন্যার ভয়াবহতায় অন্তত ১৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা একযোগে কাজ করে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে এই ১৭টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি ঘটে ফেনীর নিম্নাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে, যেখানে টানা বর্ষণ এবং নদীর স্তর বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্তিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে, এবং সেখানে বসবাসরত মানুষদের অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, মরদেহগুলো বেশিরভাগই বন্যায় ভেসে যাওয়া ঘরবাড়ি ও জলমগ্ন এলাকায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়ার কারণে এদের মৃত্যু হয়েছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের পরিবারের পাশে আছি এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।"
এদিকে, ফেনীর স্থানীয় বাসিন্দারা জানান যে, তারা এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আগে কখনো দেখেননি। অনেকেই তাদের সহায়-সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং তাদের জন্য জরুরি আশ্রয় ও খাদ্য সরবরাহ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। তবে এখনও অনেক এলাকায় পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মরদেহগুলো সনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে এবং তাদের সৎকারের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
এই বন্যা পরিস্থিতি ফেনীসহ আশপাশের জেলাগুলোতেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
ফেনীর এই দুর্যোগের পর মানুষ শোকাহত এবং আতঙ্কিত, তবে সবাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহায়তা আসতে শুরু করেছে, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সংবাদদাতা - সাজ্জাদ হোসেন (নিউজ টুয়েন্টিফোর লাইভ) (কচুয়া চাঁদপুর)
0 মন্তব্যসমূহ